কক্সবাজারের ২ পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৬জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর ৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। নির্বাচনে দুটি ইউনিয়নের পৌরসভা ফল স্থগিত রয়েছে।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কয়েকটি ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনায় দুজন নিহত ও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাকি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে ওই দিন রাতেই নিজ নিজ রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণা করেন। ফলে চকরিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে ২১ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াবুল হক পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬২ ভোট। অন্যদিকে মহেশখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মকসুদ মিয়া ৭ হাজার ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরওয়ার আজম পান ৫ হাজার ৪৫৮ ভোট। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার ১৪ ইউপি নির্বাচনের মধ্যে পেকুয়ার টৈইটং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু হায়দার, হোয়ানক ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মির কাশেম, কুতুবজুম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ কামাল, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাশেদ মাহামুদ আলী, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিহাদ, সাবরাং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর হোছেন, কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং এ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হালিম, দক্ষিণ ধুরুং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলা উদ্দিন আজাদ, লেমশীখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আকতার হোসাইন, কৈয়ারবিলে আওয়ামী লীগের মো. আজমগীর ও আলী আকবর ডেইলে আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর সিকদার জয়ী হয়েছেন। তা ছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের উনচি প্রাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লম্বা বিল এমদাদিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখে প্রশাসন। অন্যদিকে কুতুবদিয়ার বড়খোপ ইউনিয়নের পিলট কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভো কেন্দ্র ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সময় গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনার কারণে সেই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকা কেন্দ্রগুলোতে দ্রুতই ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।